একটি বিধ্বংসী পারমাণবিক যুদ্ধের পর মানবজাতির সর্বশেষ ১০ হাজার মানুষ একটি ভূগর্ভস্থ সাইলোতে(Silo) বেঁচে আছে। কিন্তু জৈবিক টিকে থাকা ক্রমশ ভেঙে পড়ছে: বিকিরণজনিত কারণে জিনগত ত্রুটি, বন্ধ্যাত্ব ও রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে; হাইড্রোপনিক খাদ্য উৎপাদন ও পানি পরিশোধন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে; আর সাইলো রিঅ্যাক্টরগুলো দীর্ঘমেয়াদে জৈব জীবন বজায় রাখার মতো পর্যাপ্ত শক্তি উৎপাদন করতে পারছে না। এমন সময়ে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছে Consciousness Transfer (CT) প্রযুক্তি। এই প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্ককে ধ্বংসাত্মকভাবে স্ক্যান করে মানুষের চেতনাকে যান্ত্রিক সাবস্ট্রেটে আপলোড করা হয়। আপলোডের পর জৈবদেহ আর টিকে থাকে না। একবার আপলোড হলে মানুষ “জেগে ওঠে” ডিজিটাল পরিবেশ বা রোবোটিক দেহে:
ডিজিটাল জীবন: বেশিরভাগ মানুষ দক্ষ ভার্চুয়াল শহরে বাস করে, যেখানে সময় ধীর বা দ্রুত করা সম্ভব। তাদের খাদ্য, ঘুম, বা ওষুধের প্রয়োজন হয় না, এবং তাদের বয়স বাড়ে না। প্রতিটি সত্ত্বা নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
সীমিত দেহগত অনুভূতি: স্বাদ, স্পর্শ, গন্ধ ইত্যাদি কেবলমাত্র সিমুলেটেড আকারে পাওয়া যায়; কিছু মানুষ রোবোটিক দেহ পায় শারীরিক জগতে কাজ করার জন্য, কিন্তু এগুলো আসল দেহের তুলনায় অপ্রতুল।
শাসনক্ষমতা: আপলোডকৃত মন সরাসরি সাইলো সিস্টেম — যেমন সাইলো এর পর্যবেক্ষণ , সিমুলেশন এ সম্পদ বণ্টন ইত্যাদি — সাধারণ মানবিক গতির তুলনায় অতিদ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
নতুন জীবন সৃষ্টির সম্ভাবনা : জৈবিক জীবন উৎপাদন এর সম্ভাবনা নেই। ডিজিটাল ভাবে একদম নতুন সত্ত্বা তৈরি করা সম্বব কিন্তু তার জন্য প্রচুর রিসোর্স দরকার।
তবে এই CT সার্ভার একদমই ঝুঁকিহীন হয়। বিকল হওয়া, সিস্টেম করাপশন, এর মতো ঝুঁকি রয়েছে।শক্তি ও অবকাঠামোর ঘাটতির কারণে মানবজাতি একসাথে জৈব জীবন ও CT দুই পথই টিকিয়ে রাখতে পারবে না। CT সার্ভার তৈরি করতে হলে খামার ও জৈব জীবন-সমর্থন ব্যবস্থা ভেঙে ফেলতে হবে, জৈব জীবন বাঁচিয়ে রাখতে হলে আপনি CT এর পেছনে সম্পদ বিনিয়োগ করতে পারবেন না।