২০০৫ সাল। পোপ নির্বাচনের দুইজন গুরুত্বপূর্ণ ক্যান্ডিডেট কার্ডিনাল জোসেফ আলোইসিয়াস রাটজিঙ্গার ( যিনি পরবর্তীতে পোপ বেঞ্চেডিক্ট ষোড়শ হন) এবং কার্ডিনাল জর্জ বার্গোগ্লিও (যিনি পরবর্তীতে পোপ ফ্রান্সিস হন)। আদর্শ ও দর্শনে দুইজন দুই মেরূর। তাদের এই পার্থক্য শুধু আদর্শ ও দর্শনের পার্থক্য নয়, বরং পুরো চার্চের ভবিষ্যৎ তাদের উপড়ে নির্ভর করে। কার্ডিনাল জোসেফ আলোইসিয়াস রাটজিঙ্গার-কে কনক্লেভে উপস্থাপন করা হয়েছে চার্চের রক্ষণশীল ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে। তার দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, শতাব্দীপ্রাচীন ধর্মীয় নিয়ম, কঠোরতা ও গোঁড়া ধর্মতত্ত্ব বজায় রাখাই চার্চকে শুদ্ধ রাখবে। তিনি বিশ্বাস করতেন, আধুনিক সমাজে পরিবর্তনের চাপের কাছে নতি স্বীকার করলে চার্চের আধ্যাত্মিকতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে, কার্ডিনাল বার্গোগ্লিও ছিলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুর প্রতীক—একজন সংস্কারক ও মানবিকতার পক্ষে দাঁড়ানো ধর্মীয় নেতা। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে আধুনিক পৃথিবীতে চার্চকে নতুন প্রজন্মের সমস্যাগুলো শোনার, গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এবং আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন আছে। তার মতে, ধর্ম যদি বাস্তব সমস্যার সমাধান না দেয়, তবে সেটি সমাজে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে।

একটি বিধ্বংসী পারমাণবিক যুদ্ধের পর মানবজাতির সর্বশেষ ১০ হাজার মানুষ একটি ভূগর্ভস্থ সাইলোতে(Silo) বেঁচে আছে। কিন্তু জৈবিক টিকে থাকা ক্রমশ ভেঙে পড়ছে: বিকিরণজনিত কারণে জিনগত ত্রুটি, বন্ধ্যাত্ব ও রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে; হাইড্রোপনিক খাদ্য উৎপাদন ও পানি পরিশোধন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে; আর সাইলো রিঅ্যাক্টরগুলো দীর্ঘমেয়াদে জৈব জীবন বজায় রাখার মতো পর্যাপ্ত শক্তি উৎপাদন করতে পারছে না। এমন সময়ে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছে Consciousness Transfer (CT) প্রযুক্তি। এই প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্ককে ধ্বংসাত্মকভাবে স্ক্যান করে মানুষের চেতনাকে যান্ত্রিক সাবস্ট্রেটে আপলোড করা হয়। আপলোডের পর জৈবদেহ আর টিকে থাকে না। একবার আপলোড হলে মানুষ “জেগে ওঠে” ডিজিটাল পরিবেশ বা রোবোটিক দেহে:

ডিজিটাল জীবন: বেশিরভাগ মানুষ দক্ষ ভার্চুয়াল শহরে বাস করে, যেখানে সময় ধীর বা দ্রুত করা সম্ভব। তাদের খাদ্য, ঘুম, বা ওষুধের প্রয়োজন হয় না, এবং তাদের বয়স বাড়ে না। প্রতিটি সত্ত্বা নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

সীমিত দেহগত অনুভূতি: স্বাদ, স্পর্শ, গন্ধ ইত্যাদি কেবলমাত্র সিমুলেটেড আকারে পাওয়া যায়; কিছু মানুষ রোবোটিক দেহ পায় শারীরিক জগতে কাজ করার জন্য, কিন্তু এগুলো আসল দেহের তুলনায় অপ্রতুল।

শাসনক্ষমতা: আপলোডকৃত মন সরাসরি সাইলো সিস্টেম — যেমন সাইলো এর পর্যবেক্ষণ , সিমুলেশন এ সম্পদ বণ্টন ইত্যাদি — সাধারণ মানবিক গতির তুলনায় অতিদ্রুত  নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

নতুন জীবন সৃষ্টির সম্ভাবনা : জৈবিক জীবন উৎপাদন এর সম্ভাবনা নেই। ডিজিটাল ভাবে একদম নতুন সত্ত্বা তৈরি করা সম্বব কিন্তু তার জন্য প্রচুর রিসোর্স দরকার।

তবে এই CT সার্ভার একদমই ঝুঁকিহীন হয়। বিকল হওয়া, সিস্টেম করাপশন, এর মতো ঝুঁকি রয়েছে।শক্তি ও অবকাঠামোর ঘাটতির কারণে মানবজাতি একসাথে জৈব জীবন ও CT দুই পথই টিকিয়ে রাখতে পারবে না। CT সার্ভার তৈরি করতে হলে খামার ও জৈব জীবন-সমর্থন ব্যবস্থা ভেঙে ফেলতে হবে, জৈব জীবন বাঁচিয়ে রাখতে হলে আপনি CT এর পেছনে সম্পদ বিনিয়োগ করতে পারবেন না।

"গ্লাস ক্লোজেট” বলতে এমন এক পরিস্থিতিকে বোঝানো হয় যেখানে কোনো LGBTQ ব্যক্তির যৌন অভিমুখিতা বা লিঙ্গ পরিচয় অনেকের কাছেই স্পষ্ট বা জানা, কিন্তু তা প্রকাশ্যে স্বীকার করা হয় না। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি প্রকাশ্যে সমকামী জীবনযাপন করেন কিন্তু এ নিয়ে কখনো মন্তব্য না করেন বা তার যৌন অভিমুখিতা (sexual orientation) সম্পর্কে প্রচলিত ধারণাগুলো নিশ্চিত না করেন, তবে "তিনি গ্লাস ক্লোজেট–এ আছেন" বলা হয়।

গ্লাস ক্লিফ (Glass cliff) বলতে সংকটকালীন সময়ে নারীকে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতার পদে পদোন্নতি করা কিংবা দায়িত্ব দেওয়া বুঝায়। এর কিছু উদাহরণ: Yahoo এর মারিসা মেয়ার (Marissa Mayer), Reditt এর এলেন পাও, ইংল্যান্ডের থেরেসা মে, এবং AMD এর লিসা সু (Lisa Su)।

স্ট্রাকচারাল রিফর্ম মানে নীতি ও আইন প্রণয়নের মাধ্যমে মানুষের জীবনমান উন্নত করা। উদাহরণ: সাবসিডাইজড চাইল্ডকেয়ার, বৈষম্যবিরোধী আইন। সামাজিক নর্ম চ্যালেঞ্জ করা মানে লিঙ্গভিত্তিক মনোভাব ও মানদণ্ড পরিবর্তন। উদাহরণ: সৌন্দর্যমান, টক্সিক ম্যাসকুলিনিটি, লিঙ্গভিত্তিক ভূমিকা

জিমি কিমেল একজন আমেরিকান বিখ্যাত টক-শো হোস্ট যিনি রাজনৈতিক মতাদর্শ অনুযায়ী একজন ডেমোক্রেট কিংবা বলা যায় এন্টি ট্রাম্প বা এন্টি রিপাবলিকান। তিনি প্রায়-ই তার টকশো তে ট্রাম্প এবং রিপাবলিকান দের কমেডির মাধ্যমে সমালোচনা করেন। সম্প্রতি ফার রাইট এক্টিভিস্ট চার্লি কার্ক এর মৃত্যুতে জিমি কিমেল "এক্স" এ চার্লি কার্ক এর মৃত্যু নিয়ে তার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানান। তবে এর কিছুদিন পরেই তিনি তার শো তে বলেন "রিপাবলিকানরা চার্লি কার্ক এর হত্যাকারীকে যেভাবে ডেমোক্রেট সাজানোর চেষ্টা করছে,তা দেখে মনে হচ্ছে রিপাবলিকানরা এই ঘটনা থেকেও পলিটিকাল পয়েন্ট অর্জনের চেষ্টা করছে।" এতে রিপাবলিকান দের একটি অংশ "MAGA" বিশাল পরিমানে ক্ষিপ্ত হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসন জিমি কিমেল এর টক-শো বন্ধে প্রকাশ্যে প্রচেষ্টা চালায় এবং এরই ধারাবাহিকতায় Federal Communications Commission (FCC) এর প্রধান প্রকাশ্যে টক-শো টির চ্যানেল ABC এবং ABC এর প্যারেন্ট কোম্পানি Disney কে হুমকি দেয়। Disney অনির্দিষ্টকালের জন্য টক-শো-টি বন্ধ করলেও ৬দিন পরেই প্রবল জনরোষের কারনে আবার জিমি কিমেল এর টক-শো টি চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়।

বিভিন্ন দেশ প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিলেও ন্যাটোর সদস্যভুক্ত ও ইউরোপের বেশিরভাব দেশই ইতোপূর্বে প্যালেস্টাইন-কে রাস্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় নি। সম্প্রতি ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, পর্তুগাল, স্পেন, নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা,মোনাকো, বেলজিয়াম,এন্ডোরা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় যাদের অনেকেই ঐতিহাসিক ভাবে ইসরায়েলের বন্ধুপ্রতিম রাস্ট্র ও ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশ

২০২৫ সালে নিউইয়র্ক মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক দলের প্রাইমারিতে জোহরান মামদানি নিউইয়র্ক রাজনীতির অনেক পুরাতন মুখ এন্ড্রূ ক্যুমোর বিপক্ষে আকস্মিক জয়লাভ করেন। ক্যুমো একজন মধ্যমপন্থী ডেমোক্র্যাট (Centrist democrat) এবং ইতিপূর্বে নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে কাজও করেছেন। তিনি অধিকাংশ এলিট,ধনী এবং বয়স্ক ডেমোক্র্যাট সদ্যসের দ্বারা সমর্থিত একজন প্রার্থী এবং তার নিজস্ব অবদান রয়েছে নিউ ইয়র্কের পিছনে। ২০১১ সালে যৌন ক্যালেঙ্কারি অভিযোগে তাকে পদত্যাগ করতে হয়। অপরদিকে মামদানি ডেমোক্র্যাট দলের চূড়ান্ত বাম ঘরানার (Extreme leftist) একজন তরুণ নেতা। তিনি সম্প্রতি জনপ্রিয় হন তার আক্রমণাত্মক (aggressive) সামাজিক নীতিসমূহের জন্য যেমন: ইউনিভার্সাল চাইল্ড কেয়ার, স্থানীয় প্রশাসন দ্বারা পরিচালিত গ্রোসারি স্টোর এবং বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ। মামদানি ট্রাম্পে অভিবাসন নীতি এবিং অভিবাসীদের ধরার জন্য ICE (United States Immigration and Customs Enforcement) এর raid এর ঘোর বিরোধী। কিন্তু তার অনেক নীতি  মধ্যমপন্থী ডেমোক্র‍্যাট এবং ডানপন্থী জনগণ বিরোধীতা করে, বিশেষ করে ট্রাম্প নিজে থেকে অভিবাসন নীতি নিয়ে মামদানির অবস্থানের কারণে এবং তার বামপন্থা নীতির কারণে নির্বাচনে জয়লাভ করলে কেন্দ্র থেকে নিউইয়র্কের বাজেট কমিয়ে দেওয়া বা স্থগিত করে দেওয়া এবং গ্রেফতার করার হুমকিও দেন। এই সংসদ মনে করে ২৫ সালের নিউইয়র্ক মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানি বিজয় লাভ করলে ডেমোক্র্যাটদের ভালোর চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে।